বগুড়া প্রতিনিধিঃ বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে গিনেজ বুকে স্থান পেতে এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা। মঙ্গল বার গিনেজ প্রতিনিধিদল বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি মাঠ পরি দর্শন শেষে এমন কথা বলেন। পরিদর্শনে তারা সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি জানিয়েছেন, তিন দিনের মধ্যে তারা পরিদর্শন রিপোর্ট জমা দেবেন গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে, সেখান থেকে আগামী সপ্তাহে ইতিবাচক সাঁড়া পাওয়ার সম্ভবনা আছে।
কৃষি জমিকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করে দুই প্রজাতির ধানের সু-পরিকল্পিত ও শৈল্পিক চাষের মাধ্যমে বঙ্গ ন্ধুর ছবি আঁকার উদ্যোগ নেওয়া হয় এই মাঠে। এর ফলে ১০০ বিঘা জমিতে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। ইতিমধ্যেই সবুজ আর বেগুনী ধানের চারায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এবং দর্শনার্থীদের তা বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করেছে। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ এই প্রতিকৃতি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে সহযোগিতা করেন ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার।
বুধবার দুপুরে গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধি হিসেবে মালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্র পরিদর্শন করেন শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য্য অধ্যাপক ডঃ কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ও অধ্যাপক ডঃ এমদাদুল হক চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের আহবায়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাঃ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্য সচিব কে.এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সাংসদ সদস্য আলহাজ্জ হাবিবর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র,
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজুনু, সাঃ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু প্রমূখ। পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ডঃ কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ও অধ্যাপক ডঃ এমদাদুল হক চৌধুরী উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, গিনেজ বুকে রেকর্ডের জন্য যে নির্দেশিকা প্রদান করা হয়েছিলো মালেন্দা গ্রামে তা অনুসরণ করেই শস্যচিত্র ফুটে তোলা হয়েছে। এখানকার আয়তন, শস্যের ঘণত্ব সবকিছুই সন্তাষজনক। ফলে আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।
তার আগে আগামী তিনদিনের মধ্যে তাঁরা এই পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবেন বলেও জানান তারা। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি আয়োজক কর্তৃপক্ষ বলেন, চারা থেকে শীষ আসবে, ধান হবে, ধান পাকবে আর প্রতিটি ধাপেই তৈরি হবে জাতির জনকের একেক ধরনের পোট্রেট। ১০০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ভিন্নরকম এই চিত্রকর্মের উদ্দেশ্য গিনেজ বুক রেকর্ড করা। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর তথ্য অনুযায়ী সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র ২০১৯ সালে চীনে তৈরী করা হয়,
যার আয়তন ছিল ৮লাখ ৫৫হাজার ৭৮৬বর্গফুট। বাংলাদেশের শস্যচিত্রের আয়তন হবে প্রায় ১২লাখ ৯২হাজার বর্গফুট বা ১লাখ ২ হাজার বর্গমিটার। শস্যাচিত্রটির দৈর্ঘ্য ৪০০মিটার ও প্রস্থ ৩০০মিটার। ১৭ই মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে নতুন এই বিশ্বরেকর্ড অর্জন উদযাপন করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তারা।
জিএম মিজান / দৈনিক সংবাদপত্র