বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় আলমগীর হত্যা মামলার তদন্তভার আড়াই মাস আগে সিআইডিতে স্থানান্তর হলেও পুলিশ তা ছাড়তে চান না। এ নিয়ে পুলিশ ও সিআইডির মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। এ দিকে থানা পুলিশের কাছ থেকে মামলার ডকেট বুঝে না পাওয়ার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেছে সিআইডি। অন্যদিকে মামলাটি সিআইডিকে না দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে থানা পুলিশ। মামলা থানায় রাখার জন্য সিআইডির কাছে আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শাজাহানপুর উপজেলার রাজারামপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর আলমগীর নামের এক যুবক খুন হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুজ্জামন লিমন ৩০ ডিসেম্বর ২০ জনের নামে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ৮ জানুয়ারী সিআইডি মামলাটি অধিগ্রহন করে এবং বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক ছকির উদ্দিনকে তদন্তভার দেয়া হয়। সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ছকির উদ্দিন গত ১১ জানুয়ারী মামলার ডকেট হস্তান্তরের জন্য শাজাহানপুর থানায় আবেদন করেন। কিন্তু থানা পুলিশ মামলার ডকেট হস্তান্তর না করায় সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ছকির উদ্দিন গত ৮ মার্চ বিষয়টি লিখিত ভাবে আদালতকে জানায়। এ দিকে শাজাহানপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওবায়দুলাহ আল মামুন মামলাটি তার কাছেই রাখার জন্য সিআইডি বরাবর আবেদন করেন। গত ৮ জানুয়ারী মামলা সিআইডিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়ার পরেও ডকেট হস্তান্তর না করে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা নিয়ে বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার ১ নং আসামির বোন ফজিলাতুন্নেছা আসামি না হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে গ্রেফতারের জন্য তার কর্মস্থলসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ জন্য পুলিশের ভয়ে তিনি দুই মাস কর্মস্থল থেকে ছুটি নেন। পরে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওবায়দুলাহ আল মামুন বলেন, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। একারণে মামলাটি ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। মামলা নিয়ে বানিজ্যের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার শাহরিয়ার রহমান বলেন, মামলা স্থানান্তর না করার বিষয়ে তার কিছু জানা নাই। তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিবেন বলে জানান।
জিএম মিজান / দৈনিক সংবাদপত্র