বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনটে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ধর্ষকের বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বছরে এই ঘটনায় ধর্ষিতা অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে এবং কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। মঙ্গলবার সকাল ১২টায় গ্রেফতারকৃত দুই ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেড়েরবাড়ি গ্রামের আজাহার আলী পাইকাড় (৬০) এবং একই গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে ও ধর্ষকের বাবা ফজলুল বারী (৪৫)। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের ফজলুল বারীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৮) প্রতিবেশী এক দিনমজুরের কিশোরী মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রেমের সাড়া দেয়নি মেয়েটি। ২০১৯ সালের ১৫ মে দুপুরের সুযোগ বুঝে মেয়েটি ধর্ষণ করে বখাটে মেহেদী হাসান। ওই সময় মেয়েটির বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে যান মেয়ে ও তার মা। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান তাদের বিচার না দিয়ে ঘটনাটি ধামাচামা চেওয়ার চেষ্টা করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোনো সহায়তা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান তারা। ধর্ষণের শিকার হওয়ায় মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে মেয়েটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। বিষয়টি জানার পর থেকে মেহেদী হাসান পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মেহেদী হাসান ও তার বাবা ফজলুল বারী এবং ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকাড়কে আসামী করা হয়েছে। থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের বাবা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাহার আলীর পাইকাড় বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বিচার চেয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ধর্ষককে শনাক্ত করা সম্ভব না। তাই মেয়েটিকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপরও স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির ইন্ধনে আমাকে ধর্ষণ মামলায় আসামি করা হয়েছে। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ প্রতিবেদক-কে বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
জিএম মিজান / দৈনিক সংবাদপত্র