বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া জিলা স্কুলের প্রাচীর ঘেঁষে থাকা পার্কিং এলাকায় মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে গত ১১ই মার্চ বহস্পতিবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। উক্ত সংঘর্ষে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাঃ সম্পাদক মোঃ তাকবীর ইসলাম খান শহীদ জিয়াউর রহমান (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিকেলে মৃত্যু বরণ করে।
ছাত্রলীগ নেতা তাকবীর হত্যার ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে আল আমিন (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে সদর থানা পুলিশ কাহালু থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আল আমিন কাহালু উপজেলার সাঁকোহালি গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাঃ সম্পাদক আব্দুর রউফ গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আলোচিত এই হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত মূল আসামিদের কাউকেই এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনার তিন দিন পর ১৩ই মার্চ দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে সদর থানায় পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলা দায়ের করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাঃ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাঃ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনের মামলা করেন। তাকবীর ইসলামের মা আফরোজা ইসলামের দায়ের করা মামলায় নাম উল্লেখিত আসামিরা হলেন জাহিদ হাসান (২৬), আনোয়ার হোসেন (২৭), মোঃ তারেক (২৭), বিধান চন্দ্র মোহন্ত (২৭), নিশাদ (২১) ও আরমান (২২)। অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হাসান বাদী হয়ে
তাকবীর ইসলাম খানসহ ১২জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২৫ জনের মামলা করেন। সোহাগ হাসানের দায়ের করা মামলায় নাম উল্লেখিত আসামিরা হলেন তোফায়েল আহমেদ, হাসিবুল হাসান শান্ত, আব্দুল্লাহ ঈমন, জয় কুমার দাস, শাহাদত জামান সঞ্জয়, সামিউল পরান সজল, সিজান রহমান, ফেরদৌস আলম সাফি, মাহবুবুল সাফিন, হাবিবুর রহমান ও মেহেদী হাসান। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির আল আমিনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদক-কে বলেন,
আল আমিনের নাম মামলার এজাহারে নেই। তবে তাকবীরকে কোপানোর দিন সাতমাথা এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, আল আমিন চাপাতি হাতে তাঁর ওপর হামলা চালান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন স্বীকার করেছেন, রউফের সঙ্গে তিনি নিজেও চাপাতি হাতে তাকবীরের ওপর হামলায় অংশ নেয়। তাকবীর হত্যা মামলায় অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছে।
জিএম মিজান / দৈনিক সংবাদপত্র