বগুড়া প্রতিনিধিঃ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও ১০০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরি স্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অত্র এলাকায় থমতমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং পরি স্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ চলছিলো। উপজেলা আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তি যোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান, অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক। বিষয়টি সমঝোতার জন্য উভয় গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হলেও কোন সমঝোতা হয়নি। এমত অবস্থায় গত ৩০ই জানুয়ারী ধুনট পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক পরাজিত হলে।
এ পরাজয়ের নেপথ্যে বর্তমান এমপি হাবিব গ্রুপের নেতাকর্মীদের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে আর সে কারণে স¤প্রতি উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক এমপি হাবিব গ্রুপের মহসীন আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই টানটান উত্তেজনা চলছে। শনিবার সকালে উপজেলা আঃলীগের সভাপতি নুরুন্নবী গ্রুপের উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা রিপন কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা পরিষদ রোড পৌঁছেলে। এমপি হাবিব গ্রুপের নেতাকর্মি তাদের মারপিট করে ধাওয়া দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মহুর্তেই উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা
উপজেলা পরিষদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ প্রতিবেদক-কে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফাঁকা গুলি, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জিএম মিজান / দৈনিক সংবাদপত্র