নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী নির্মান করলেন ‘স্যারের মেয়ে’ নামে একটি একক নাটক। এই নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন উপস্থাপক মৌসুমী মৌ। নাটকের মূল ভূমিকায় এটাই মৌসুমী মৌয়ের প্রথম অভিনয়। রহমত উল্লাহ স্যারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা আবুল হায়াত, ছাত্র নিরবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক।
নাটকে দেখা যাবে, নিরব নামের এক যুবক গাড়ি থেকে নেমেছে। চোখে সানগ্লাস। এক ভিক্ষুক হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। মেয়ের অসুস্থতার জন্য সাহায্য চায়। নিরব পকেটের ম্যানিব্যাগ বের করে ১০০শত টাকার নোট দিয়ে দেয় ভিক্ষুককে। সামনে পা বাড়াতে যাবে নিরব; হঠাৎ ভিক্ষুককে দেখে অবাক হয়ে যায়। চোখের সানগ্লাস খুলে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। ভিক্ষুকটি আর কেউ নয়; তার কলেজ জীবনের স্যার রহমত উল্লাহ (৫৮)। নিরব বোবা হয়ে যায়। নিরবের অবাক দৃষ্টি দেখে রহমত উল্লাহ স্যারও অবাক হয়ে জানতে চায় তার পরিচয়। নিরব কি করবে বুঝতে পারছে না। চোখ দুটো টলমল করে উঠে। কারণ, রহমত উল্লাহ একজন সৎ শিক্ষক ছিলেন ছাত্র জীবনে। রহমত উল্লাহ স্যারের ছাত্ররা দেশের অফিস-আদালতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
কিন্তু রহমত উল্লাহ স্যারের একি হাল? নিরব তার প্রিয় স্যারের করুণ অবস্থা অনুসন্ধান করতে শুরু করে। স্যারের একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ইয়াসমিনের স্বামী যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে ইয়াসমিনকে পঙ্গু করে দিয়েছে। স্যারের ও স্যারের মেয়ে ইয়াসমিনের করুণ পরিণতি নিয়ে নিরব মাঠে নামে। স্যারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। অবশেষে স্যারের মানবতার জীবনের কী অবসান হয়? স্যারের মেয়ে ইয়াসমিনের স্বামীর কি বিচার হয়? নিরবের সাথে ইয়াসমিনের ছাত্র জীবনের প্রেমের মিলন হয়? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে দেখতে হবে নাটক ‘স্যারের মেয়ে’।
মৌ বলেন, এবারই প্রথম নাটকে অভিনয় করা হলো। একেবারে মূল চরিত্র। অভিনয় আসলেই খুব কঠিন। তবে নাটকের সঙ্গে জড়িতরা আমাকে ভীষণ সাপোর্ট করেছেন। চয়নিকা দিদি, আবুল হায়াত স্যার, মনোজ দা প্রত্যেকেই অসাধারণ।
এস.আর. মাল্টিমিডিয়া পরিবেশনায় প্রযোজনা করেছেন অ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান, নাটকটির চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন সামসুল ইসলাম লেলিন ও সুজন মেহমুদ। শিঘ্রই নাটকটি একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে।