পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বাঁশঝাড় হতে কিশোর সনাতন বর্মন (১৪) এর লাশ উদ্ধারের দুই দিনের ব্যবধানে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৩জনকে আটক করেছে পাঁচবিবি থানা পুলিশ। গত রবিবার দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম রামচন্দ্রপুর (কুড়িপাড়া) গ্রামে ১ টি বাঁশঝাড় হতে সনাতন বর্মন (১৪) নামক ঐ কিশোর এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি উদ্ধার এর পর পুলিশ প্রশাসন মাঠে নামে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও আসামী আটকের অভিযানে।
আজ মঙ্গলবার ১২ই জানুয়ারি সকালে এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানায় হত্যার রহস্য ও আসামি আটক সম্পর্কে জানতে গেলে পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব সাংবাদিকদের জানান, “সনাতন হত্যা মামলার সন্দেহ ভাজন হিসাবে এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বাগজানা ইউ নিয়নের পশ্চিম রামচন্দ্রপুর (কুড়িপাড়া) গ্রামের বাচ্চু দাসের পুত্র কৌশিক দাস (১৯), একই এলাকার পশ্চিমা পাড়া গ্রামের যদুয়া রায়ের পুত্র রনি রায় (১৯) ও ধরুয়া রায় এর পুত্র সাগর রায় (২১)।
হত্যার কারণ জানতে চাইলে ওসি জানান, “আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি এটি মোবাইল ফোন কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। ওসি আরও জানান এলাকাবাসীর নিকট আমরা জেনেছি,“ আটক কৌশিক দাস পূর্ব থেকেই খুব খারাপ ছেলে ছিল এবং সে বিভিন্ন জায়গার মানুষের অসংখ্য মোবাইফোন চুরির সঙ্গেও জড়িত। তিনি আরো বলেন, ধৃত আসামীদের বিমান্ডের আবেদন জানিয়েছি। রিমান্ডে নিলেই সনাতনের স্মার্ট ফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। উল্লেখ্য যে, গত ৯ই জানুয়ারি রাতে বাগজানা ইউনিয়নের
খোর্দ্দা গ্রামের নবো বর্মনের পুত্র সনাতন বর্মনকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়, কিন্তু সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে ১০ই জানুয়ারি সকালে সনাতন বর্মনের লাশ পশ্চিম রামচন্দ্রপুর (কুড়িপাড়া) গ্রামের রঘু দাস এর বাঁশ ঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ বাঁশঝাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে এবং এই হত্যায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি হত্যামামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোঃ বাবুল হোসেন / দৈনিক সংবাদপত্র