টিভি নাটকের শুটিং বন্ধে সরকারি কোনো নির্দেশনা পায়নি সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। ৪ এপ্রিল আন্তঃসংগঠনের জরুরি বৈঠকে জানানো হয়, লকডাউন চলাকালে (৫-১১ এপ্রিল) নাটকের শুটিং হবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শিল্পী-কুশলী-নির্মাতাদের যৌথ সম্মতিতে হতে হবে।
এ বিষয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, সরকার যেহেতু লকডাউন দিয়েছে, তা অবশ্যই আমাদের সবার মানতে হবে কিন্তু প্রজ্ঞাপনে শুটিং বন্ধ নিয়ে তেমন কোনো নিষেধাজ্ঞা এখনো আমাদের দেয়া হয়নি। তাই আমরা শুটিং বন্ধ করতে বলছি না। তবে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটকের শুটিং করতে হবে সবাইকে। যারা এখনো শুটিংয়ের জন্য ডেট দেননি তাদের আমরা নিরুৎসাহিত করব নতুন করে শুটিং না করার জন্য। কিন্তু যারা এরই মধ্যে শিডিউল দিয়ে ফেলছেন, তারা শুটিং চালিয়ে যেতে পারবেন। কারণ শুটিং মানেই তো শুধু শুটিং না, অনেকের রুটি-রুজির ব্যাপারও বটে। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমরা শুটিং চালিয়ে যেতে বলেছি।
তিনি আরো বলেন, শুটিং চলবে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। শুটিং চলা নিয়ে সমস্যা নেই। তবে সমস্যা হচ্ছে ট্রান্সপোর্ট নিয়ে। যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ থাকছে সেক্ষেত্রে শুটিংয়ের ইউনিটের গাড়ি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে কিনা এ নিয়ে আমরা কথাবার্তা বলছি। শুটিং চালানোর বিষয়ে আমরা একটা নির্দেশনা দিয়েছি। সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো শুটিং হবে না। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শুটিংয়ের কাজ শেষ করতে হবে।
নাটকের শুটিং বিষয়ে একই রকমের নির্দেশনা জারি করেন নাটকের সকল সংগঠন। তারা সবাই উপস্থিতি থেকে এই নির্দেশনা জারি করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এফটিপিও চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু, অভিনয়শিল্পী সংঘ সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না, টেলিপ্যাব সভাপতি ইরেশ যাকের ও সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির। এদিকে জানা গেছে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর কভিড পজিটিভ হয়েছেন, আছেন আইসোলেশনে।
এদিকে এফটিপিও এর চেয়ারম্যান নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, আসলে সবকিছু চিন্তা করেই আমরা সিদ্ধান্ত দিয়েছি। এক্ষেত্রে শুটিং চলাকালে যেসব বিধিনিষেধ, করণীয় রয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা চাই না কেউ শুটিং করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যাক, আবার এটাও চাই না যে শিল্পীরা শুটিং না করে আর্থিক সংকটে ভুগবেন। তাই আমাদের এ নতুন নীতিমালা। বিবৃতিতে এটাও বলা হয়েছে, যদি সরকার থেকে শুটিং বন্ধের নতুন কোনো নির্দেশনা আসে, তাহলে প্রয়োজনে শুটিং বন্ধ রাখা হবে।