কষ্ট বুকে নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকেন। একেক মানুষের কষ্ট একেক রকম। প্রতিটি মানুষের কষ্টের রঙ আলাদা। কষ্ট ছাড়া মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তেমনি একজন মানুষ অপূর্ব, যার কষ্টের রঙ কোটি মানুষের কষ্টের রঙ থেকে আলাদা।
সারা নামে এক মেয়েকে মন উজাড় করে ভালোবেসেছিলেন অপূর্ব। কিন্তু সারা অপূর্বকে বিয়ে না করে জাহিদকে বিয়ে করেন। কারণ সারার বাবা হার্টের রোগী। সারা বাবাকে বাঁচাতে ভালোবাসাকে বিসর্জন দেন। অপূর্ব সারার ভালোবাসা না পেয়েও সারার জন্য একটি জাদুঘর নির্মাণ করেন।
এগোটা পৃথিবীতে বিভিন্ন পার্ক, বিনোদনমূলক জায়গা, চিড়িয়াখানা, বিচ রয়েছে। যেখানে সবাই আনন্দ করতে যান। কিন্তু প্রাণভরে কষ্ট-বেদনা ও কান্নার কোনো স্থাপনা নেই। অপূর্ব প্রথম এমন একটি জাদুঘর নির্মাণ করে গোটা দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেন। মনই এগিয়ে যাওয়া গল্পে নির্মান হয়েছে নাটক “জাদুঘরের নাম কষ্ট”।
ইজাজ আহমেদ মিলনের গল্পে ও মিজানুর রহমান বেলালের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন আদিত্য জনি। নাটকটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ে করেছেন আব্দুন নুর সজল ও হিমি। আরো অভিনয় করেছেন- মারজুক রাসেল, রতন, শায়মা রুশো, আনোয়ার, শোরমী, রুশ খান, পারভিন, মিথিলা।
পরিচালক জনি বলেন, ভিন্ন রকম এক ভালোবাসার গল্প দর্শক নাটকটিতে দেখতে পাবেন। যেখানে প্রিয় মানুষটির জন্য বড় ধরনের ত্যাগের উদাহরণ দেখা যাবে। সজল, হিমি ও মারজুক তিনজনই দারুণ অভিনয় করেছেন। তারা চরিত্রকে পার্ফেক্টভাবে পর্দায় তুলে ধরতে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও কাজ করেছেন। এই ভালোবাসার গল্পটি দর্শকদের ভালো লাগলেই আমাদের কষ্ট সার্থক।
হিমি বলেন, জাদুঘরের নাম কষ্ট ভালো গল্পের একটি নাটক। সজল ভাইয়ের সাথে জুটি হয়ে ও জনি ভাইয়ের নির্দেশনায় একটি ভিন্ন ধরনের কাজ করলাম। আশা করি, দর্শকের কাছে নাটকটি বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠবে।
নাটকটি কোন চ্যানেলে প্রচার হবে সেটা এখনই চূড়ান্ত নয়। তবে শিগগিরই কোন একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচার হবে বলে জানান পরিচালক।